সোরিয়াসিস; একটি ত্বকের রোগ
সোরিয়াসিস একটি দীর্ঘস্থায়ী ত্বকজনিত রোগ, যাতে ত্বকের কোষগুলো খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং ত্বকে লাল, শুকনো, চুলকানিযুক্ত ও রূপালি স্তর সৃষ্টি হয়। এটি ছোঁয়াচে নয়, কিন্তু রোগীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রভাবিত করে। এর চুলকানি, ফোলাভাব ও খোসার মত ত্বক রোগীকে সারাদিন অস্বস্তি ও মানসিক চাপের মধ্যে রাখে।
আধুনিক চিকিৎসায় এর স্থায়ী সমাধান নেই – শুধুমাত্র স্টেরয়েড ও ব্যথানাশক ওষুধের মাধ্যমে উপসর্গগুলো চাপা দেয়া হয়। কিন্তু আয়ুর্বেদ, যা রোগের মূল থেকে চিকিৎসায় বিশ্বাস করে, সোরিয়াসিসের স্থায়ী ও প্রাকৃতিক সমাধান প্রদান করে।
কর্মা আয়ুর্বেদা, যারা বছরের পর বছর ধরে হাজার হাজার রোগীকে প্রাকৃতিক ও আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে সুস্থ করেছে, সোরিয়াসিসের জন্য সর্বোত্তম আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা প্রদান করে – তাও ১০০% পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীনভাবে।
পরামর্শ বুক করুন
সোরিয়াসিসের ধরনসমূহ; সব সমস্যার একমাত্র সমাধান – কর্মা আয়ুর্বেদা
- প্লাক সোরিয়াসিস: ত্বকে লাল প্যাচ ও রূপালি স্তর
- গুট্টেট সোরিয়াসিস: ছোট ছোট লাল দাগ, সাধারণত গলার ইনফেকশনের পর
- পুসচুলার সোরিয়াসিস: ত্বকে পুঁজভর্তি ফোড়া
- ইরিথ্রোডার্মিক সোরিয়াসিস: পুরো ত্বকে লালচে ভাব ও খোসা ওঠা
- ইনভার্স সোরিয়াসিস: বগল, যৌনাঙ্গ ও শরীরের ভাঁজে
সোরিয়াসিস/ত্বকের রোগে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাই কেন শ্রেষ্ঠ?
অ্যালোপ্যাথিতে সোরিয়াসিসের চিকিৎসায় প্রধানত স্টেরয়েড ক্রিম, ইমিউন সাপ্রেসেন্ট, ইনজেকশন ও ফোটোথেরাপি ব্যবহার করা হয়, কিন্তু এসব শুধু উপসর্গ কমায় এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
আয়ুর্বেদে এটিকে "কুষ্ঠ রোগ" বলা হয়। এটি ত্রিদোষের অপ্রতিসাম্য, বিশেষত পিত্ত ও রক্ত দোষ বৃদ্ধির কারণে হয়। আয়ুর্বেদিক ভেষজ, সঠিক ডায়েট, যোগ ও প্রাণায়ামের মাধ্যমে দোষগুলোকে সঠিক করে সোরিয়াসিসের চিকিৎসা করা হয়।
সোরিয়াসিসের জন্য শ্রেষ্ঠ আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা – কর্মা আয়ুর্বেদার সঙ্গে
কর্মা আয়ুর্বেদার চিকিৎসা চারটি স্তম্ভের উপর ভিত্তি করে:
- দূষিত রক্ত ও পিত্তের শুদ্ধি
- ত্বকের গভীর পরিচ্ছন্নতা
- ভেষজ দ্বারা কোষ পুনর্গঠন
- স্ট্রেস ও জীবনযাপনের উন্নতি
নিম্নলিখিত কারণে কর্মা আয়ুর্বেদার চিকিৎসা সর্বোত্তম ধরা হয়:
- ১০০% প্রাকৃতিক ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা
- কোনো স্টেরয়েড বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই
- অভিজ্ঞ আয়ুর্বেদিক ডাক্তারদের তত্ত্বাবধান
- রোগীর প্রকৃতি অনুযায়ী ব্যক্তিগত চিকিৎসা
- হাজার হাজার সফল চিকিৎসা কেস
- রোগের মূল থেকে সমাধান
আপনি যদি ‘best ayurvedic treatment for Psoriasis’ খুঁজছেন, তাহলে কর্মা আয়ুর্বেদাই আপনার গন্তব্য।
সোরিয়াসিসে কার্যকরী আয়ুর্বেদিক ওষুধ – কর্মা আয়ুর্বেদার ভেষজ
- নিম: রক্ত পরিশোধক, চুলকানি ও ফুসকুড়িতে উপকারী।
- মঞ্জিষ্ঠা: শক্তিশালী রক্ত বিশুদ্ধকারী, ত্বকের দাগ দূর করে।
- হরিদ্রা (হলুদ): অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল
- খদির: চর্মরোগে উপকারী, ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনে।
- ত্রিফলা: হজম উন্নত করে, শরীর থেকে টক্সিন অপসারণ করে।
এই ওষুধগুলো সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক, তবে এগুলো কেবল কর্মা আয়ুর্বেদার অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করুন।
সোরিয়াসিসে কী খাবেন, কী খাবেন না? – কর্মা আয়ুর্বেদার খাদ্য পরিকল্পনা
কর্মা আয়ুর্বেদা খাদ্যাভ্যাসকে চিকিৎসার মূল অংশ মনে করে।
যা খাবেন: গরম জল, নিম, গিলয় ও অ্যালোভেরার রস, মুগ ডাল, খিচুড়ি, পেঁপে, ডালিম, আপেল, গরুর ঘি, তুলসী ও হলুদযুক্ত হার্বাল চা
যা খাবেন না: ভাজা-পোড়া খাবার, দই, মাংস, ডিম, ময়দা, জাঙ্ক ফুড, দেরি করে রাতের খাবার, অ্যালকোহল ও ধূমপান
FAQs
সোরিয়াসিস কি ছোঁয়াচে?
না, সোরিয়াসিস ছোঁয়াচে নয়। এটি একটি অন্তর্গত কারণজনিত ত্বক রোগ এবং এটি অন্য কারো মধ্যে ছড়ায় না।
কর্মা আয়ুর্বেদার চিকিৎসা কি সোরিয়াসিস সম্পূর্ণভাবে নিরাময় করতে পারে?
হ্যাঁ, রোগী যদি আয়ুর্বেদিক নিয়ম মেনে চলে ও নিয়মিত ওষুধ ও থেরাপি গ্রহণ করে, তবে কর্মা আয়ুর্বেদার চিকিৎসা সোরিয়াসিসের মূল থেকে নিরাময়ে সক্ষম, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই।
কর্মা আয়ুর্বেদা কীভাবে সোরিয়াসিসের চিকিৎসা করে?
শুদ্ধ আয়ুর্বেদিক ওষুধ, পঞ্চকর্ম থেরাপি, নির্দিষ্ট খাদ্য ও জীবনযাপন পরামর্শের মাধ্যমে। এই চিকিৎসা রোগের মূল সমস্যায় কাজ করে, শুধু উপসর্গ নয়।
কর্মা আয়ুর্বেদার চিকিৎসা কি ১০০% আয়ুর্বেদিক?
অবশ্যই, কর্মা আয়ুর্বেদা কেবলমাত্র বিশুদ্ধ আয়ুর্বেদিক ভেষজ ও প্রাকৃতিক পদ্ধতির উপর নির্ভর করে। এখানে কোনো স্টেরয়েড বা কেমিক্যাল ওষুধ ব্যবহৃত হয় না।
কর্মা আয়ুর্বেদা থেকে চিকিৎসা শুরু করতে কী করতে হবে?
আপনি আমাদের ওয়েবসাইটের হোমপেজ থেকে চ্যাট করতে পারেন অথবা হেল্পলাইন নম্বরে কল করে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারেন। আপনার সমস্যার ভিত্তিতে একটি ব্যক্তিগত চিকিৎসা শুরু করা হবে।
